বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ট্রেজারার প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের দুর্নীতির অভিযোগ সহ নানা অনিয়মের তদন্তে কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
এছাড়াও ট্রেজারার প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয় ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বাংলাদেশ ও আমেরিকার দ্বৈত নাগরিক। তার সন্তানরা সবাই আমেরিকায় থাকেন। ডা. আতিক মেডিক্যাল অফিসার থেকে নিজ বেতনে সহকারী অধ্যাপক এবং পরবর্তীতে সহযোগী এবং সর্বশেষ অধ্যাপক হওয়ার ক্ষেত্রে একাধিক অনিয়ম করেছেন। এমনকি নিজের চাকরি স্থায়ীকরণে নিয়েছেন জালিয়াতির আশ্রয়। পাশাপাশি ডাক্তার হয়েও তিনি প্রভাব খাটিয়ে পূর্ত কমিটির সভাপতি ও দুই মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ (ট্রেজারার) হিসাবে দায়িত্ব পালনের সুবাদে তার বিরুদ্ধে অর্থ লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দুদকের প্রাপ্তি শাখাও।
নিয়ম বহির্ভূতভাবে চাকরি স্থায়ীকরণ
অভিযোগ উঠেছে, বর্তমানে গ্রেড-২ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ১৯৯৯ সালের ৪ জুলাই ৩১ বছর ১ মাস ১৯ দিন বয়সে ২ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত হন। স্মারক নং বিএসএমএমইউ-৯৯/২৩২৭ মোতাবেক অতিরিক্ত বয়সের কারণে তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়। গত ৩০-০৮-২০০০ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের দশম সভার ৯ (ঘ) ধারা মোতাবেক ‘কোর্সে থাকা ও চুক্তিভিত্তিক রেসিডেন্টদের নিয়মিত করা হবে না’। এবং ৩০-০৬-২০০২ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১২তম সভায় ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমানকে নিয়মিত না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
উপাচার্য তার নেয়া অতিরিক্ত বেতন ফেরত নিয়ে চাকরি স্থায়ীকরণের বিষয়টি সিন্ডিকেটে উপস্থাপনের নির্দেশ দেন। কিন্তু ০৪-০৫-২০০৩ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১৪তম সভায় ডা. আতিকের বিষয়ে আলোচ্য সূচি সুকৌশলে বাদ দেয়া হয়। কিন্তু সব বিধি ভঙ্গ করে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রশাসন কোনো এক অদৃশ্য ক্ষমতাবলে তাকে নিয়মিত (স্থায়ী) করে।
পদোন্নতির ক্ষেত্রে জালিয়াতি
পদন্নোতি ও নিয়োগ বিধির ৫(খ) ধারা অনুযায়ী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করার জন্য সিন্ডিকেট সভার অনুমোদনের বিধান থাকলেও ডা. আতিকুর রহমানের বেলায় তা মানা হয়নি।